Home » বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রস্তুতকৃত প্রথম প্রশিক্ষণ বিমান বঙ্গবন্ধু বেসিক ট্রেইনার (বিবিটি) এর উদ্বোধন

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রস্তুতকৃত প্রথম প্রশিক্ষণ বিমান বঙ্গবন্ধু বেসিক ট্রেইনার (বিবিটি) এর উদ্বোধন

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ২৪ মার্চঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার (২৪-০৩-২০২৪) বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশারে অবস্থিত তেজগাঁও বিমান বন্দরে সমরাস্ত্র প্রর্দশনী ২০২৪-এ এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রস্তুতকৃত প্রথম প্রশিক্ষণ বিমান বঙ্গবন্ধু বেসিক ট্রেইনার (বিবিটি) উদ্বোধন করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, বিবিপি, বিইউপি, এনএসডব্লিউসি, এফএডব্লিউসি, পিএসসি অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান।

বঙ্গবন্ধু বেসিক ট্রেইনার (বিবিটি) তৈরির যাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন ও এ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বাংলাদেশেও বিমান তৈরি সম্ভব- এই স্বপ্ন ও ধারণা হতে শুরু হয় পথযাত্রা। বিভিন্ন ধাপে নানাবিধ প্রক্রিয়া সম্পর্কে পর্যালোচনার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শুরু হয় বিমান নির্মাণের যাত্রা। বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত মূলমন্ত্রে দীক্ষিত বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় নিজেদের চেষ্টায় নিজেদের কারিগরি প্রযুক্তিতে, নিজেদের প্রকৌশলী ও লোকবলের দ্বারা নির্মাণ করে বাংলাদেশের প্রথম উড়োজাহাজ বঙ্গবন্ধু বেসিক ট্রেইনার-১ (বিবিটি-১)। এই বিমান ১৮০ কিমি গতিতে ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় উড্ডয়নে সক্ষম। ১২ ফেব্রæয়ারি ২০২৩ সালে বিমানটি প্রথম টেস্ট ফ্লাইট সম্পন্ন করে রচনা করে নতুন ইতিহাস।

অনুরূপভাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রকৌশলীগণের বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানের প্রায়োগিক প্রক্রিয়ায় বিবিটি-২ (বঙ্গবন্ধু বেসিক ট্রেইনার-২) বিমানের নির্মাণ ও প্রয়োজনীয়তার সম্ভাব্যতা যাচাই করার প্রক্রিয়াটি ডিসেম্বর ২০২১ এ শুরু হয়। বিবিটি -২ সুনির্দিষ্ট বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা পূরণের লক্ষ্যে ২৬ অক্টোবর ২০২৩-এ সফলভাবে প্রথম উড্ডয়ন সম্পন্ন করে।

উল্লেখ্য, লো উইং ডিজাইন বিমানটি পরিচালনার ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা এবং ভারসাম্য নিশ্চিত করে। প্রকৌশলীদের বুদ্ধিদীপ্ত প্রচেষ্টার ফলে বিবিটি-২ ফিউজলাজটি নির্মাণে কাঠের ব্যবহার করা হয়েছে আর সংযোগকারী অংশগুলো তৈরী করা হয়েছে এভিয়েশন গ্রেড স্টীল ও এ্যালুমিনিয়াম দিয়ে। এই সুচিন্তিত প্রকৌশল বিদ্যা বিমানের কাঠামোগত নির্ভরযোগ্যতা এবং ওজন দক্ষতা উভয়কেই নিশ্চিত করে। বিমানটি সর্বোচ্চ ৫০০ কেজি নিয়ে ২০,০০০ ফুট উচ্চতায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে উড্ডয়নে সক্ষম। সর্বোপরি  বঙ্গবন্ধু বেসিক ট্রেইনার-২ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উড্ডয়ন সক্ষমতাকে এক নতুন মাত্রায় পৌছে দিয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্পের বাস্তবায়নে এই বিমানের নির্মাণ একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এই অর্জন বাংলাদেশের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাসের পাতায় সূচনা করেছে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত এক নতুন অধ্যায়।  

উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট