Home » বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও প্যাসিফিক এয়ারফোর্স, যুক্তরাষ্ট্র এর যৌথ মহড়া ‘এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২২’ চলাকালীন কন্টেইনার ড্রপ অনুশীলন

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও প্যাসিফিক এয়ারফোর্স, যুক্তরাষ্ট্র এর যৌথ মহড়া ‘এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২২’ চলাকালীন কন্টেইনার ড্রপ অনুশীলন

Author: আইএসপিআর

 

ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারিঃ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ব্যবস্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ারফোর্স এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অংশগ্রহণে ০৬ (ছয়) দিনব্যাপী এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২২’ শীর্ষক যৌথ অনুশীলনটি রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২) বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে শুরু হয়েছে। উক্ত মহড়াটি দুই দেশের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে যুদ্ধ/দূর্যোগকালীন সময় যোদ্ধাদের রণক্ষেত্রে অবতরণ ও ত্রাণ/উদ্ধার সামগ্রী পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের কার্যক্ষমতা ও কার্যদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক এয়ার ফোর্স বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় নানাবিধ প্রশিক্ষণমূলক অনুশীলন পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ সমুদ্র নিকটবর্তী ও নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রতি বছর বিভিন্ন রকমের প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়ে থাকে। সেসময় দূর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পরিবহণ বিমানসমূহ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

‘এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২২’ মহড়াটিতে মূলত আপদকালীন এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলার পাশাপাশি যুদ্ধ ও শান্তিকালীন সময়ে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পরিবহণ বিমানগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরণের অনুশীলন করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন সময়ের ত্রাণ/উদ্ধার সামগ্রী বহনপূর্বক তা দ্রুততম সময়ে দুর্যোগ কবলিত এলাকায় পৌছানোর প্রয়োজন পড়ে। তারই অংশ হিসেবে ‘এক্সারসাইজ কোপ সাউথ-২০২২’ মহড়া চলাকালীন প্যাসিফিক এয়ার ফোর্স ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মোট ৩টি সি-১৩০জে বিমান থেকে কন্টেইনার ড্রপ অনুশীলন সম্পন্ন হয়।

উক্ত অনুশীলনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রায় ৬০ জন ও প্যাসিফিক এয়ারফোর্স, যুক্তরাষ্ট্র এর প্রায় ৭৭ জন প্যারাট্রুপার অংশ গ্রহণ করেন। কন্টেইনার ড্রপ অনুশীলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুর্যোগ কবলিত এলাকায় প্রচুর পরিমাণ ত্রাণ/ উদ্ধার সামগ্রী দ্রুততম সময়ে আকাশ পথে নিরাপদভাবে পৌছানোর সামর্থ্য বহুলাংশে বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি মহড়াটির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট