Home » লেবাননের বৈরুতে সংঘটিত ভয়াবহ বিষ্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থদের বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মানবিক সহায়তা

লেবাননের বৈরুতে সংঘটিত ভয়াবহ বিষ্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থদের বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মানবিক সহায়তা

Author: আইএসপিআর

ঢাকা, ০৯ আগস্টঃ- গত ০৪ আগস্ট ২০২০ তারিখে লেবাননের বৈরুতে সংঘটিত ভয়াবহ বিষ্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যার্থে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দ্রুত মানবিক ও ত্রাণ সহায়তা প্রেরণের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান আনুমানিক ০২ টন চিকিৎসা সামগ্রী, ০৮ টন জরুরী খাদ্য সামগ্রী এবং ০২ টন খুচরা যন্ত্রাংশ নিয়ে রবিবার (০৯-৮-২০২০) লেবাননের রাজধানী বৈরুতের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১২ সদস্যের এয়ার ক্রু এর সমন্বয়ে গঠিত এই মিশনের নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শান্তনু চৌধুরী, এসিএসসি, পিএসসি, জিডি(পি)। উক্ত মিশন সুসম্পন্ন করার জন্য বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। মিডিয়া ব্রিফ করেন সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ আবুল বাশার, বিবিপি, ওএসপি, এনডিসি, এসিএসসি, পিএসসি।

বন্ধুপ্রতীম দেশসমূহে সংঘটিত যেকোন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যার্থে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে মানবিক ও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সর্বদা বিমান পরিবহন সেবা প্রদান করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বৈরুতে দুর্ঘটনা কবলিত প্রবাসী বাংলাদেশী, স্থানীয় জনগণ ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যদের সহায়তা প্রদানের জন্য জরুরী চিকিৎসা সামগ্রীসহ একজন চিকিৎসক এবং নৌবাহিনী জাহাজের বাস্তব অবস্থা নিরুপনের জন্য রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ওএসপি, এনইউপি, এনডিসি, পিএসসি এর নেতৃত্বে ০৪ সদস্যের একটি কারিগরী মুল্যায়নকারী দল বিমান বাহিনীর এই সি-১৩০জে পরিবহন বিমানের মাধ্যমে লেবাননে পাঠানো হয়। ফিরতি পথে বিমানটি কিছু প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনবে। সি-১৩০জে পরিবহন বিমানটি আগামী ১২ আগস্ট ২০২০ তারিখে দেশে ফিরবে বলে আশা করা যায়।

উল্লে¬খ্য যে, বৈশ্বিক এই ক্রান্তিকালে একে অপরকে সহযোগীতার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার দুর্যোগ মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ ভাতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশের পক্ষ হতে এই সহায়তা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সুসম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট