ঢাকা, ০৬ নভেম্বর ২০১৯ ঃ- ঘূর্ণিঝড় বুলবুল পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরী উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তায় বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, সাতক্ষীরায় ৫টি, চট্টগ্রামে ৩টি ও সেন্টমার্টি›েস ২টি যুদ্ধজাহাজসহ নৌ কন্টিনজেন্ট ও মেডিক্যাল টিম মোতায়নের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। খুলনা অঞ্চলের সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনায় বানৌজা কর্ণফুলী, তিস্তা, পদ¥া, এলসিভিপি ০১২ ও এলসিভিপি ০১৩ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪টি নৌ কন্টিনজেন্ট যে কোন জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে ৩টি জাহাজ বানৌজা শাহজালাল, শাহ পরান ও অতন্দ্র দ্রুততম সময়ে জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলীয় এলাকায় ত্রাণসামগ্রী নিয়ে গমনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে বানৌজা সমুদ্র জয় ও সমুদ্র অভিযান জরুরী ত্রাণসামগ্রী নিয়ে সেন্টমার্টি›েস অবস্থান করছে। তাছাড়া নৌবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সেন্টমার্টি›েস আটকে পড়া পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় সহযোগীতা প্রদান করা হচ্ছে।
খুলনা নৌ অঞ্চল থেকে মোতায়েনকৃত জাহাজসমূহ বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, বরগুনা, সাতক্ষীরার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাসমূহে ২০০০ প্যাকেট জরুরী খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবে। যার প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে সাড়ে ৭ কেজি চাল, দেড় কেজি ডাল, দেড় লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিড়া, ১ কেজি মুড়ি, আধা কেজি গুড়, আধা কেজি বিস্কুট, ২ লিটার বিশুদ্ধ পানি, ২ ডজন মোমবাতি, ২ ডজন দিয়াশলাই বক্স এবং জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় স্যালাইন ও ঔষধ। এছাড়া দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরী চিকিৎসা সহায়তার জন্য ৫টি বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, জীবন রক্ষাকারী ঔষধ ও খাবার স্যালাইন বিতরণের কাজে নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি ৪টি নৌ কন্টিনজেন্ট যে কোন জরুরী পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।
ইতিমধ্যে সেন্টমার্টি›েস নৌবাহিনীর ২টি যুদ্ধজাহাজ সমুদ্র জয় ও সমুদ্র অভিযান ২ টন চিড়া, ১ টন মুড়ি, ২ টন চাল, দেড় টন গুড়, ৫০০ কেজি ডাল, ৭০০ কেজি চিনি, ৫০০ প্যাকেট মোমবাতি, ২৫০ ডজন দিয়াশলাই নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি সেন্টমার্টি›স এর ফরওয়ার্ড বেইসের নৌ সদস্যরা জরুরী উদ্ধার ও ত্রাণ কার্য পরিচালনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম ও ঢাকায় উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুদ্ধজাহাজ ও নৌ কন্টিনজেন্ট অনুরূপ ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় নৌবাহিনী তিনস্তরের ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।